সিআরবি স্বয়ং একটি হাসপাতাল » কামরুল হাসান বাদল

কামরুল হাসান বাদল কবি,সাংবাদিক লেখক টিভি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব »
একটি গাছের দাম কত? কয়েক হাজার থেকে লাখ ছাড়াতে পারে। এই তো! কিন্তু যদি খাতা-কলম নিয়ে বসি তাহলে চোখ কিন্তু কপালে উঠে যাবে। বর্তমান অতিমারির কারণ অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। অক্সিজেন কিনতে হচ্ছে। চাহিদা অনুয়ায়ী অনেক স্থানে অক্সিজেন পাওয়াও যাচ্ছে না। যাদের অক্সিজেন কিনতে হচ্ছে তারা জানেন একজন রোগীর জন্য একঘণ্টার অক্সিজেন কিনতে তাদের কী পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
একটি গাছ বছরে ১১৮ কেজি অক্সিজেন বাতাসে ছাড়ে। বাতাস থেকে শোষণ করে ২৩ কেজি কার্বনডাই অক্সাইড। একটি গাছ দুজন মানুষের অক্সিজেন যোগায়।
সে গাছের দাম কত হবে? সম্প্রতি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে শেষ জমা করা রিপোর্ট অনুযায়ী ৭৪,৫০০ রুপি দিয়ে গুণ করা হবে গাছের বয়স। গাছের নতুন দাম হিসেবে সেই অঙ্কই ধার্য করা হবে। পাশাপাশি একটি গাইডলাইনের কথাও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) এস এ ববদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ এই রিপোর্ট জমা করেছে, যে কমিটি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গাছের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করতে গিয়ে বলেছিল, গাছ যে পরিমাণ অক্সিজেন ছাড়ে, তার ভিত্তিতে চলে গোটা জগৎ। কাজেই একটা গাছের মূল্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
পাঁচ সদস্যের কমিটি এই রিপোর্টে বলা আছে, হ্যারিটেজ ট্রি বা যে গাছের বয়স ১০০ পার হয়েছে, সেই গাছের দাম হবে কোটি টাকার বেশি। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কোনও প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একের পর এক গাছ কাটা হয়। তার দাম ধার্য করা হয় না সেভাবে। ফলে পরিবেশের সম্পদ ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে না।
একই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, একটা গাছ বছরে যে পরিমাণে অক্সিজেন ছাড়ে, ভারতীয় টাকার অঙ্কে তার দাম ৪৫,০০০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ টি যে গাছ কাটা হয়েছে তার দাম ২২০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৩৫৬ টি গাছ কাটা হয়েছিল । সে বিযয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এই হিসাবগুলো অধুনা। জগৎটা যেহেতু টাকার অঙ্কে ঘুরছে সেহেতু এখন টাকার সংখ্যা দিয়ে পরিবেশ তথা গাছ, যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে তার হিসাব দিতে হচ্ছে। অথচ আজ থেকে প্রায় তিন শ বছর আগে যখন সবকিছু টাকার অঙ্কে মাপা হতো না সে সময়ের মানুষগুলো কী গভীরভাবে ভালোবেসেছিল গাছকে, প্রকৃতিকে।
১৭৩০ সাল। ভারতের রাজস্থানের প্রত্যন্ত অঞ্চল খেজারিলি গ্রামে একটি রাজপ্রাসাদ গড়ার পরিকল্পনা করলেন তৎকালীন মেওয়ারের রাজা অভয় সিং। তার নির্দেশে শুরু হয় গাছ কাটা । এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিন সন্তানের জননী অমৃতা দেবী। সে সময় তার সাথে যোগ দেয় গ্রামের বিষ্ণু সম্প্রদায়ের লোকেরাও। তাদের উদ্দেশ্য, যে করেই হোক গ্রামের গাছগুলোকে বাঁচাতে হবে। আর সেজন্য গাছের সাথে নিজেদের জড়িয়ে রেখে শুরু হয় গাছরক্ষা আন্দোলন। আর এভাবেই গাছকে জড়িয়ে ধরে রাখা অবস্থাতেই রাজার সৈন্যদের হাতে তারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছিলেন।
সে ঘটনার অনেক বছর পরে ভারতেই আরেকটি আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। চিপকো নামের সে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল গত শতকের সাত দশকে ভারতের উত্তর প্রদেশে। সে সময় এলাহাবাদের করাতকল মালিকদের ইচ্ছেমতো গাছ কাটার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু বাধ সাধে ‘মহিলা মঙ্গল দল’ ও তার প্রধান গৌরা দেবী। ২৫ মার্চ ১৯৭৫ সালে করাতকলের লোকজন গাছ কাটতে এলে খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেন আরও বেশ কিছু নারী। তারা গাছ কাটা ঠেকাতে জীবন বাজি রেখে গাছকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ‘জড়িয়ে ধরা’ বা ‘সেঁটে থাকা’-কে হিন্দিতে বলে চিপকো, আর এই শব্দ থেকে নাম হয়েছে চিপকো আন্দোলন।
সেদিন তাদের নিরস্ত করতে না পেরে গুলি করার হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষের লোকেরা। কিন্তু গৌরা দেবীরা ছেড়ে দেননি, গাছটিকে জড়িয়ে ধরে সারা রাত জেগেছিলেন। পরের দিন আবারও করাতকলের লোকজন এলে গাছ কাটার খবর আশপাশের গ্রামগুলোতেও ছড়াতে শুরু করে। দলে দলে লোকজন ছুটে আসে গাছরক্ষাআন্দোলনে যোগ দিতে। চার দিন পর করাতকলের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হয়। বিজয়ী হন গৌরা দেবীর দল।
পরে এই আন্দোলনের সাফল্য ওখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়ে পুরো উত্তর প্রদেশে। রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর গেলে, তিনি বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। তার ভিত্তিতে মুখ্য মন্ত্রী নেওয়া সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের পক্ষেই গিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুরো হিমালয় অঞ্চলে পনের বছরের জন্য সব ধরনের গাছ কাটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
একবার এক সাক্ষাৎকারে চিপকো আন্দোলনের প্রাণপুরুষ সুন্দরলাল বহুগুনা বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে আমরা সহিংসতা করছি। আমরা প্রকৃতির হত্যাকারীতে পরিণত হয়েছি।’ পরিবেশ রক্ষা করতে ভারতীয়দের গাছ আলিঙ্গন করতে শিখিয়ে সারা পৃথিবীতে তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ এর দশকে উত্তর ভারতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা চিপকো আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন তিনি। বহুগুনা এবং তার সহযোদ্ধা চান্দি প্রসাদ ভাটের আহ্বানে ভারতীয় হিমালয় অঞ্চলের বহু নারী-পুরুষ গাছ কাটা ঠেকাতে গাছ আলিঙ্গন করেছেন বা সেগুলোর সঙ্গে নিজেদের বেঁধে রেখেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি শক্তিশালী একটি বার্তা দিয়েছিলেন ‘গাছের আগে আমাদের শরীর কাটো।’ এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গাছ কেটে পরিবেশগত সংকট তৈরির প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছিলো।
থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ ভিক্ষুও বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে অভিনব এক আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। ফ্রাক্রু পিতাক নানথাখুন নামে এই ভিক্ষু গত ২৫ বছর ধরে পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে গাছপালার গায়ে পরিয়ে দিচ্ছেন গেরুয়া পোষাক।
‘কোন মানুষের গায়ে গেরুয়া উঠলে যেমন সে ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে। তেমনি আমরা যখন কোন গাছের গায়ে গেরুয়া চড়াই তখন আশা করি মানুষ সেটিকে একটি পবিত্র চিহ্ন হিসেবে দেখবে এবং গাছটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে।’ থাইল্যান্ড বৌদ্ধ-প্রধান দেশ। বৌদ্ধ ধর্মমতে এই গেরুয়া পোশাককে পবিত্র বলে মনে করা হয়। তাই গাছের গায়ে গেরুয়া পোশাকের জন্য কেউ আর গাছটি কেটে ফেলতে চায় না। ফ্রাক্রু পিতাক নানথাখুন বলছেন, ‘থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নান্‌ প্রদেশে বণভূমি ধ্বংসের মাত্রা এখন এক বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মধ্যস্বস্ত্বভোগী দালাল, ভূমিদস্যু এবং অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে গাছপালা কেটে ফেলছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন,
‘আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম কীভাবে একে মোকাবেলা করা যায়। শেষ পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মবষিয়ক পুস্তক ঘাঁটাঘাটি করে এর জবাব পেলাম।’
এই প্রথায় ধর্মীয় আচার পালনের পর গাছে গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় পবিত্র জল এবং পরিয়ে দেয়া হয় গেরুয়া। এই ভাবে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে নান্‌ প্রদেশে বহু গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। প্রকল্পটি এতটাই সফল যে লাওস, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ভুটান এবং শ্রীলংকাতেও একইভাবে গাছ রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছে।
আমাদের দেশে হরহামেশাই গাছ কাটা হয়। পাহাড় কাটা হয়। পুকুর-দীঘি ভরাট করা হয়। খালি জায়গা পেলে সেখানে ইঁটপাথরের বস্তি বানানো হয়। বছরের পর বছর এই অমানবিক কাণ্ড চলে এলেও কখনো দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। নেওয়া হয় না কারণ যারা ব্যবস্থা নেবেন তারাই অনেক সময় এ ধরনের দুষ্কর্মে যুক্ত থাকেন।
যেমন চট্টগ্রামের ফুসফুস বলে খ্যাত সিআরবি চত্বর, বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক স্থান। এত সুন্দর স্থান গোটা বিশ্বেও খুব বেশি নেই। চট্টগ্রাম নগরে খোলা জায়গা খুব বেশি নেই। ডিসি হিল ছিল তা এখন অবরুদ্ধ। সাধারণ মানুষ সেখানে ঢুকতে পারেন না। সেখানে অসাধারণরা থাকেন। ডিসি হিল ছিল চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের প্রাণের জায়গা। তা এখন ধুসর অতীত। এরপর নগরবাসী সকাল-সন্ধ্যা এই খোলা চত্বরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসেন কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার আসায়। সংস্কৃতিকর্মীরা পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসবের মতো বছরে দুতিনটি অনুষ্ঠান করতে পারত। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এটি নগরবাসীর বড় প্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে আছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং বা সিআরবি, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শত বছর আগে ব্রিটিশ আমলে। আসাম-বেঙ্গল রেলের মূল কার্যালয় ছিল এটি। এই ভবন আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। ভবনের আশেপাশে আছে রেলওয়েম্যানদের সরকারি বাসভবন।
এখন এই জায়গাতেই হতে যাচ্ছে বেসরকারি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এর জন্য ছয় একর জায়গাও দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সরকারের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে হাসপাতালের নির্মাণকাজ অচিরেই শুরু হতে পারে।
ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। এরপর চট্টগ্রামেের সবশ্রেণির মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিবেশবিধ্বংসী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেকে।
রেলের প্রচুর জায়গা আছে চট্টগ্রামে। দখলে যত আছে বেদখলে সম্ববত সে পরিমাণ। নগরের আমবাগান, পাহাড়তলী, অক্সিজেন মোড়, হালিশহর-বন্দর এলাকায় রেলের প্রচুর জায়গা আছে। সেখানে কোথাও হতে পারে হাসপাতালটি। হতে পারে কুমিরায় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের আশেপাশেও। সেসব জায়গা বেদখলে ফেলে রেখে কেন রেল মন্ত্রণালয় সিআরবির এই জায়গাটি বেছে নিল তা বড় রহস্যময়।
৫০০ শযার একটি হাসপাতাল ও ১০০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন কত শত গাড়ি আসা -যাওয়া করবে, হাসপাতালকে কেন্দ্র করে কত ওষুধের দোকান, খাবারের দোকানসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে সে খবর কি কর্তৃপক্ষের জানা নেই? তারপরও কোন যুক্তিতে নগরের এই নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতাল করতে হবে? বিকল্প ব্যবস্থা বা জায়গা যেহেতু অনেক আছে।
আসলে হাসপাতাল বলতে আমরা বুঝি একটি আলিশান বিল্ডিং, তার ভেতর সারি সারি বেড, বেডের ওপর নাকেমুখে নল লাগিয়ে রাখা রোগী। কিন্তু প্রকৃতি যে একটি বিশাল হাসপাতাল সে কথা আমরা থোড়াই মনে রাখি। এই সিআরবিতে সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটতে আসেন শত শত হার্টের রোগী, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও নানা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। এখানে এসে তারা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখেন, ফুসফুস ভরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করেন। কেউ অবসর সময় কাটাতে পরিবার পরিজন নিয়ে আসেন। অনেকে খেলাধুলা করতে আসেন। আর নানা উৎসবে এখানে এসে মনের পিপাসা মেটান। মোট কথা অনেকভাবে এই সিআরবি নগরবাসীকে সুস্থ রাখতে, আনন্দ ও জীবনমুখী করে রাখতে অবদান রাখছে। প্রকৃতির এই বিশাল হাসপাতালকে ধ্বংস করে ইট-পাথরের কোনো হাসপাতাল এখানে চাই না।
আমরা ধারণা প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি বারবার বলেন, প্রকৃতি বিনষ্ট করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। কাজেই সিআরবির মতো জায়গায় তিনি বেসরকারি হাসপাতালের অনুমোদন দেবেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেন প্রকৃত অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে। চট্টগ্রামবাসীর এই যৌক্তিক আন্দোলনে কোন কোন রাজনৈতিক নেতা কেমন ভূমিকা পালন করবেন তা খতিয়ে দেখা এবং স্মরণ রাখার কাজটিও করতে হবে আমাদের।
এই শহরে হাজার হাজার বিশিষ্ট মানুষ আছেন সন্দেহ নেই। কিন্তু আজ থেকে তিন শ বছর আগে
সাধারণ অমৃতা দেবী বা গত শতকে গৌরা দেবীরা যা করেছিলেন তা কি এত বিশিষ্টজনেরা করে দেখাতে পারব?
দীর্ঘদিন ধরে লুটেরাদের কাছে হেরে যাচ্ছি আমরা এবার আমাদের জয়লাভ করতেই হবে।